Thursday, March 9, 2017


                                                 ইতিহাসের একাল সেকাল 


সময় জিনিসটা সকলের জন্যই খুব মূল্যবান ।
ঐতিহাসিক তাজমহল
আমাদের কাজ শুধু সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আর তার সাথে সমান তালে নিজেকে সময়ের সাথে খাপ খাইয়ে বেড়ে ওঠা। নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করার দৌড়ে ছুটছে সবাই। শান্তিনিকেতনের বসন্তের আগমনের অপেক্ষায় সকলেই। বসন্তের সেই মুহূর্ত যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। সেই অপেক্ষাকে সাথে নিয়ে চললাম রাজধানী দিল্লিতে, আরও কিছু জ্ঞান আর সুন্দর কিছু অনুভূতি উপলব্ধি করতে। মাঝের সমস্ত বাধাবিপত্তি কাটিয়ে এগোলাম সেই দিকে। পথে যেতে যেতে দুলকি চালে এগিয়ে যাওয়া বিভিন্ন রাজ্যের উপর দিয়ে আর দেখা কিছু অজানা-অচেনা জায়গার সুন্দর ছবি। দিন ৪/৫ এর এই শিক্ষা লাভের ভ্রমণ একদিকে যেন ঠাকুমার ঝুলির ভেতরে জ্ঞানের ভাণ্ডার। সম্পূর্ণ এক নতুন অনুভূতি তার মধ্যে রয়েছে নতুন কাজ, অভিজ্ঞতা, নতুন মুখ-আর পরিচয় তার সাথে তো আছেই অনেক মজা। যাতায়াতের পথের সঙ্গী রাজধানীর কিছু স্মৃতি-বহনকারী জায়গা। এ যেন এক স্বর্গপ্রাপ্তির উদাহরণ স্বরূপ। কাজের ফাঁকে ছুটে চলেছিলাম কখনও ইন্ডিয়া গেট আবার কখনও বিশালাকার জামা মসজিদ, বিশালাকার সেই লাল কেল্লা, চাঁদনি চকের সেই বাজার, কখনও আবার নতুন দিল্লী থেকে পুরনো দিল্লী পথে আরও কিছু সুন্দর দৃশ্য। ছোটবেলায় ইতিহাসের পাতায় দেখা আর বাস্তবে চিত্র প্রায় এক পরিবর্তন শুধুই সময়ের। উদাহরণ স্বরূপ বলাই যায় এ যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারা। এক দিকে নিজের জন্য সেই জ্ঞান ভাণ্ডার থেকে কিছুটা জ্ঞান সংগ্রহ করে আনা আর তার সাথে ইতিহাসের সেই ছবি আর এক ধাপ কাছে থেকে দেখা। এত বড়ো প্রাপ্তির পর আবারও ফিরে আসা শান্তিনিকেতনে আর সেই সঙ্গে অপেক্ষা বসন্তের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে নেওয়ার। 

No comments:

Post a Comment