মেঘের হাতছানি
মেঘের চাদরে নকালিকায় |
সময় এখন বসন্তের
আগমনের। চারিদিকে দেখলেই মনে হচ্ছে প্রকৃতি যেন নানা রঙের আবিরে দোল খেলছে। বসন্তে
একদিকে রঙবেরঙের গাছ-পাতা ঝরে গিয়ে নতুন পাতা গজানোর সময়। গত বছরে সেরকমই এক
বসন্তে পারি দিয়েছিলাম উত্তর-পূর্ব ভারতের এক অনন্য সুন্দর ছবির মতো জায়গা, শহরটা শিলং। শহরটা যেন একটি আস্ত ক্যানভাস, চারিদিকে গারো আর খাসী পাহাড়ের অপূর্ব রুপ আর
বড়ো বড়ো ঝর্না। একদিকে বসন্তের আমেজ সাথে পাহাড়ি ঝরর্না আর শিলং এর অপরূপ
প্রাকৃতিক সুন্দর ছবি। শহরটা খুব একটা শান্ত-সাজানো গোছানো এবং সমস্ত রকমের সুবিধাপূর্ণ।
শহরটা মেঘালয়ের অন্তর্গত, তাই প্রথমদিনে শহরের আশপাশ ঘুরেই পরেরদিন উদ্দেশ্য নিয়ে
চললাম মৌসিনরাম। মেঘালয়ে এসে মৌসিনরাম না দেখাটা যেন টাইগার হিলে গিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা
না দেখার মতন অসম্পূর্ণ। তাতে যেন উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেকটা অসম্পূর্ণ ভ্রমণ।
বর্তমানে উষঞায়নের জন্যে প্রকৃতির মন খারাপের জন্যে মৌসিনরাম সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত
না হলেও এখনকার রুপটাও খুব একটা খারাপ না। রাস্তায় পথ চলতে সুইট ফলস্(Sweet Falls), আবার
কোথাও এলিফ্যান্ট ফলস্ (Elephant Falls), নকালিকায় ফলস্ (Nohkalikai Falls), সেভেন-সিস্টার ফলস্ (Seven-Sister Falls) আর তাদের ভয়ঙ্কর সুন্দর
রুপ- যেন পাহাড় থেকে দুধের ঝর্না বয়ে চলেছে। তার থেকেও সুন্দর আর একটা রুপ হল সাদা
মেঘের খেলা- পেঁজা তুলোর মতো ভেসে যাচ্ছে। চারিদিকে গারো খাসী পাহাড় আর সেখানকার
জনবসতির জীবনযাপন আর সাথে সেই অপরূপ সুন্দর ছবি যেন এক বিরাট প্রাপ্তি। সব কিছু
দেখার পরও চোখে শুধু ভাসে মেঘের ফাঁক দিয়ে নকালিকায় ফলস্-এর সেই নজরকাঁড়া দৃশ্য
সেভেন-সিস্টার ফলসটা তো সাতটা জলপ্রবাহ সন্মিলিত হয়ে তৈরি হওয়া একটা গড়িয়ে যাওয়া ঝর্না।
দিনের শেষে এরকম সুন্দর সুন্দর দৃশ্যের ক্যানভাস দেখতে দেখতে কখন যে একটা মস্ত বড়ো
ছবির কোলাজ তৈরি হয়ে গেল তা এখনও আমার ভাবনায়। এই অভিজ্ঞতার মাঝে বাকি রয়ে গেল
প্রকৃতির তৈরি সেই রুটব্রিজ আর বিশ্বের সবচেয়ে পরিষ্কার গ্রামের স্বাদ। তবে এরুপ
ভোলার নয়।
darun lekha o chobi. jete ecche korche.
ReplyDeleteThank you
DeleteNischoy--ame to bolechilam jete
Ame r o 1bar jabo-sathe apnio cholun :)