"ভাষা-শিক্ষা-শিক্ষিত"
|
শিক্ষার পরিবেশে শান্তিনিকেতনের পাঠভবন |
শিক্ষা-আমার,
তোমার, সবার আধিকার। দৈনিক খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান এর পাশাপাশি শিক্ষাও হয়ে উঠেছে
আমাদের জীবনসঙ্গী। শৈশবে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে মধ্য ও তারপর উচ্চস্তরীয় শিক্ষায়
বদ্ধ আমাদের জীবন। একটি দেশ গড়ে ওঠে বিভিন্ন ভাষা-ধর্মের একটি পরিবারকে নিয়ে। কথা,
খাদ্য, রুজিরোজগার, এবং জীবন ধারণের সমস্ত তালার চাবি এই শিক্ষা। শিক্ষা যেমন
জীবনে সুখের প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করে তেমনই অশিক্ষার কালো ছায়া জীবনের সমাপ্তির
দড়ি টেনে ধরে। বর্তমান বিশ্ব দাড়িয়ে ঠিক মাঝখানে। অর্থাৎ আমাদের ভারত তথা বিশ্বে
এখনও তুলনামূলকভাবে শিক্ষিতর সংখ্যা বেশী হলেও অশিক্ষা-অজ্ঞতার ছায়া-ছবি পরিষ্কার।
দিনে দিনে বেড়েই চলেছে উচ্চস্তরের শিক্ষার উচ্চতা আর চলেছে অধিক জ্ঞান অর্জনের
দৌড়ে অংশগ্রহণকারীদের নাম। স্বদেশ থেকে বিদেশ সবাই ছুটে চলেছে নিজের জ্ঞানের ঝুলি
পূর্ণ করতে।
সকলেরই ইচ্ছে হয়
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে কিন্তু বাধা দেয় সমাজ অথবা অর্থ নামক পিছুটান। কেউ তৈরি
হচ্ছে ডাক্তার, শিক্ষক অথবা অন্যান্য সরকারি বা বেসরকারি চাকরির উচ্চপদস্থ
আধিকারিক আর কেউ সেই সময়ে করছে কিছু অসামাজিক কাজ বা কেউ করছে এমন যা তার জীবন
যাপনের সহায় মাত্র। ভারতবর্ষ স্বাধীনের পর ভাষা নিয়ে চলে দীর্ঘ আন্দোলন, প্রতি বছর
২১ শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয় এই দিনটি, স্মরণ করা হয় সেই শহিদদের। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি
উদ্যোগে চলছে দেশকে শিক্ষিত করার পরিকল্পনা। এখন দেখার তাদের এই আন্দোলনের মশাল আর
বিভিন্ন উদ্যোগ ও বিভিন্ন যৌথ প্রয়াস অশিক্ষার জাল ছিঁড়ে দেশকে শিক্ষিত করার দৌড়ে
কতটা এগোতে পারে। পরিবর্তনের সেই ছায়াছবি দেখার জন্যে তাকিয়ে সবাই। কথায় আছে-“আলো
অন্ধকারকে কাটে”, তাই দেশের সেই সকল শিক্ষিতদের দরকার শিক্ষার প্রদীপটি জ্বালিয়ে
রাখা তাহলে এটাই হবে তাদের আর এক উচ্চ শিক্ষার বিষয়। তাহলেই সফল ২১-শের ভাষা
আন্দোলন, সফল সেই সব শহিদের সেদিনের অংশগ্রহণ।